আপনারা আগেই জেনে গিয়েছেন যে, ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা হচ্ছেনা মোস্তাফিজের। এমনকি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মিস করার সম্ভাবনাও খুব বেশী কাটার মাষ্টারের। বুধবার নিজ মুখে সে কথাই জানিয়েছেন মোস্তাফিজ।
ইনজুরি থেকে পুনবার্সন প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে এসে বুধবার শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোস্তাফিজ জানিয়ে দিয়েছেন , তার পক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে ফেরা সম্ভব নয়। ওয়ানডে সিরিজে ফিরবেন? এমন কথাও জোর দিয়ে বলতে পারেননি। সেটা সৃষ্টি কর্তার দয়া ও ইচ্ছের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরে দলে সম্পর্কে মোস্তাফিজের কথা, ‘এখন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে। যে কাজ দেখিয়ে দিয়েছেন ফিজিও, সেটাই ডে বাই ডে করার চেষ্টা করছি। ওভারঅল ভাল।’ ঈদের ছুটিতে কদিনের বিরতি, তার মধ্যেও রিহ্যাব চালিয়ে যাবেন। তা জানিয়ে বলেন, ‘গ্যাপ আছে। তবুও কিছু রিহ্যাব প্রোগ্রাম দিয়েছে, ওটা করতে হবে। আসার পর আবার দেখবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট খেলা নিয়েও কোন আশাবাদি সংলাপ নেই।কথা বার্তায় বুঝিয়ে দিয়েছেন , টেস্ট খেলা হবেনা, তা ধরেই নিয়েছেন। ফেরার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? মোস্তাফিজের উত্তর, ‘চোটে পড়েছি, চেষ্টা করছি কীভাবে সেরে ওঠা যায়। যে কাজ দিয়েছে চেষ্টা করছি যেন তাড়াতাড়ি কামব্যাক করা যায়।’
টেস্ট মিস হলেও ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে নিশ্চয়ই ফেরার আশা আছে? এবার সৃষ্টি কর্তার দ্বারস্থ মোস্তাফিজ , ‘সব ওপরআলার ইচ্ছা।’ এদিকে এবার নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি আইপিএল খেলতে গিয়ে ইনজুরির শিকার হলেন। এবং দুবারই আইপিএলের ইনজুরির জের ধরে জাতীয় দলের এ্যাসাইনমেন্ট মিস করা।
আইপিএল কি তবে তার জন্য ‘অপয়া’? মোস্তাফিজ তা মনে করেন না। তিনি বলেন, ‘খেলতে গেলে এমন হয়। আমার কপালে এমনটা ছিল বলেই হয়েছে।’ বারবার চোটের সঙ্গে লড়াই, আফসোস হয় কি না? মোস্তাফিজের উত্তর, ‘আফসোস থাকারই কথা। সব খেলোয়াড়ই চায় ধারাবাহিক খেলে যেতে।’
আপনার ক্ষেত্রে কেন বার বার হয় ? বারবার যে চোটে পড়ছেন। তার জবাব, ‘কী করব বলেন! কেউ তো ইচ্ছে করে পড়ে না। চেষ্টা তো করি সব সময়ই। হলে তো কিছু করার নেই।’
ঈদের ছুটিতে বাড়ী যাবেন। বাবা মা‘র সান্নিধ্য উপভোগ করেন। খুব ভাল লাগে। কিন্তু এবার খানিক মন খারাপ, টেস্ট দলে থাকলে আরও ভাল লাগতো। এমনটা জানিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, ‘বাড়িতে অনেকদিন পর যাচ্ছি। গেলে ভালো লাগে। বাবা মা, পরিবারের সবাই থাকবে। যদি টেস্ট দলে থাকতাম তাহলে দুদিকেই ভালো লাগত। এখন শুধু পরিবার নিয়েই থাকতে হবে।